ইটনা প্রতিনিধিঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্ত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.
ফজলুর রহমান জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, যারা আমাকে ফজু পাগলা উপাধি দিয়েছে তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। দেশের লক্ষ লক্ষ মসজিদ থাকলেও কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে দেশ বিদেশের হাজার হাজার মানুষ এই মসজিদটিতে নগদ কোটি কোটি টাকা, স্বর্ণালংকার দান করে থাকে। আপনারাই দেখেন সেই মসজিদের কত সম্মান। অনেকে মনে করেছিল আমি মনোনয়ন পাবো না। আমি জানতাম আমার দল বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিবে।
আজ রবিবার (৯ নভেম্বর) ইটনা উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে তিনি আরও বলেন, আমাকে দল থেকে বহিস্কার করার জন্য জামায়াত শত শত কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু আমার দল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়ে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের গণতান্ত্রিক মানুষকে সম্মান জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি যদি আপনাদের ভোটে এমপি হতে পারি তবে এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে দিব ইনশাআল্লাহ। দল মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম এই তিন উপজেলার ভালো মন্দ দেখভালের দায়িত্ব আমার।
তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি করে বলেন, এখন থেকে কোন কাজ করতে হলে আমাকে জিজ্ঞাসা করে করতে হবে, খুব সাবধানে কাজ করতে হবে। সকল ইউনিয়নের কাজ, সমস্যা, সমাধান নিজ নিজ ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা করবে। নেতাকর্মীদের টাকা হবে তার সৎ ব্যবসার মাধ্যমে। ধান্দাবাজি, চান্দাবাজি চলবে না।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফজলুর রহমান আরো বলেন, আমাকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশার সুযোগ দিতে হবে। এটাই আমার জীবনের শেষ ইলেকশান। আমি বাংলাদেশকে পৃথিবীতে দেখিয়ে যেতে চাই, কৃষকের ঘরের ফজলুর রহমান বাংলাদেশের মানুষের পথ দেখিয়ে গেছে। আমি আমার দলের বাহিরে যাব না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাহিরে আমি যাবনা। যারা বলে ৭১ সনে কোন যুদ্ধ হয়নি, তাদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক যুদ্ধ চলবে।
ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে তিনি নেতাকর্মীদের বলেন, মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে হবে। সমাবেশের আগে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাকে ইটনা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন।
ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপনের সঞ্চসলনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশ এক বিশাল জনসমাবেশে রূপান্তরিত হয়। কর্মী সমাবেশে এলাকার হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ সমাবেত হয়।
অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের সহধর্মীনি ও কিশোরগঞ্জ জেলার মহিলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাভোকেট উম্মে কুলছুম রেখা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনির উদ্দিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমেশ ঘোষ প্রমুখসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।