সাব্বির আহমেদ মানিক, বাজিতপুর প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির তাঁর বিরুদ্ধে আনা “ঘুষ লেনদেন, চাঁদাবাজি ও অর্থ আত্মসাতের” অভিযোগ অস্বীকার করে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামান মনির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১০ অক্টোবর স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে তাঁর ও তাঁর দলের নাম ব্যবহার করে ১০টি নৌকা চালকের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কখনও এমন অন্যায় কাজে জড়িত ছিলাম না।”
মনিরুজ্জামান মনির আরও বলেন, “খেয়াঘাটটি দিঘীরপাড় ইউনিয়নের পাটুলি গ্রামে অবস্থিত। ওই ঘাটের ইজারাদার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জহিরুল ইসলাম সরকার থেকে বৈধভাবে ইজারা নিয়েছেন। এই ঘাটের সঙ্গে আমার বা আমার দলের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং প্রকৃতপক্ষে এই ঘাটে প্রতিদিন নৌকা প্রতি দুই হাজার টাকা করে অবৈধ চাঁদা তুলছেন হেলাল খান নামের এক ব্যক্তি, যিনি এর আগেও জমি, নদী ও হাওরের প্রকল্প দখল করে ভূমিদস্যু ও জলদস্যু উপাধি পেয়েছেন।” তিনি প্রশাসনের কাছে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং বলেন, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখেই আমি সব সময় দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। আমি আশা করি, গণমাধ্যমকর্মীরা যাচাই-বাছাই করে সত্য সংবাদ প্রকাশ করবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আমিনুল হক, সহ-সভাপতি বাবু ইন্দ্রজিৎ দাস, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মহসিন মিয়া, সহ-সভাপতি আব্দুল করিম, সহ-সভাপতি মোঃ আলম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মজতুবা আলী জাহাঙ্গীর, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী হাসান সবুজসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।