বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জে রেজিস্ট্রি বিভাগের জেলা রেজিস্ট্রার ও সদর সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সরকারের রাজস্ব আদায় ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে। ফলে দীর্ঘদিন জেলা রেজিস্ট্রিার ও সাব রেজিষ্ট্রারের পদ শূন্য থাকায় সরকার কাঙ্কিত রাজস্ব হারাচ্ছে।
গত ৬ মাস যাবত জেলা রেজিস্ট্রার ও সদর সাব-রেজিস্ট্রার পদ দুটি খালী থাকায় খন্ডকালীন কর্মকর্তা দিয়ে দায়সারাভাবে চলছে সরকারের রাজস্ব আদায়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়।
অপরদিকে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি বাড়ছে। সেই সাথে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জমি ক্রয় বিক্রয়সহ নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন জেলার সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন সেবা গ্রহীতারা। স্থায়ী কর্মকর্তা না থাকায় অনেক সেবা গ্রহীতারা কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ফিরে যান। গত মার্চ মাস হতে সদর সাব-রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার বদলী হলে তাদের স্থলে আর কোন নতুন কর্মকর্তা নিযোগ দেয়া হয়নি।
জেলার হাওর উপজেলা মিঠামইন, নিকলী ও অষ্টগ্রামের সাব-রেজিস্ট্রার সপ্তাহে ৪ দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এতে করে অর্ধেকে নেমে এসেছে দলিল রেজিস্ট্রির সংখ্যা বলে জানা যায়। দলিল রেজিস্ট্রি কম হওয়ায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
এক ভূক্তভোগী জানান, আমি জাবেদা নকলের জন্য আসলে অফিসের লোকজন জানায় সাব-রেজিস্ট্রার নেই, সই হচ্ছে না নানা অসুবিধা দেখিয়ে ২ মাস যাবত ঘুরছি। আরেক ভূক্তভোগী জানান স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় আমাদের মত সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সদর দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল হক বলেন, নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সদরে রেজিস্ট্রি করার কাজের গতি কমে যাচ্ছে। সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান বলেন, পার্টটাইম সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এসে পৌঁছাতে ১২/১টা বেজে যায়। এতে করে দলিল রেজিস্ট্রি করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অতিরিক্ত সাব-রেজিস্ট্রার ফরিদ মোল্লা বলেন, দুর্গম হাওরাঞ্চল থেকে নিয়মিত জেলা সদরে আসতে অনেক কর্মঘন্টা নষ্ট হয়। এতে আমাদের কাজ করতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। অপরদিকে জেলা রেজিস্ট্রার পদ খালী থাকায় নেত্রকোনা জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল খালেক সপ্তাহে ২ দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয়সহ মহপরিদর্শক নিবন্ধন অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি আশা করি দ্রুত সময়ে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে।