1. bmkhayrul21@gmail.com : দৈনিক উজানভাটি : দৈনিক উজানভাটি
  2. info@www.dainikujanvati.info : দৈনিক উজানভাটি :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কিশোরগঞ্জ জেলা খুচরা সার বিক্রেতা এসোসিয়েশন গঠিতঃ আহবায়ক হাবিব, সদস্য সচিব আঃ করিম কিশোরগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার এএসপি মো. শহিদুল হক ও শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন রুহুল আমিন বাজিতপুর-নিকলীতে বিএনপির মনোনয়ন দাবিতে ইকবালের সমর্থনে ২৫ স্থানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসনে এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. ফয়সাল প্রিন্স” তাড়াইলে জামায়াত প্রার্থী ডা.জেহাদ খানের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প যুবসমাজ অনলাইন জুয়ার ছোবলে আসক্ত, তাড়াইলে সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা ইটনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর মামলায় আওয়ামীলীগ সাবেক নেতা গ্রেফতার কুলিয়ারচরে জিয়া পরিষদের অফিসে আগুন, থানায় মামলা রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের ৪৫ তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

তাড়াইলে প্রতিবন্ধীর বসতঘর ভেঙে মাদরাসার জন্য রাস্তার নামে জমি দখলের পায়তারা

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

তাড়াইল প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে একটি মাদরাসায় যাওয়া-আসার জন্য প্রতিবন্ধীর বসতঘর ভেঙে রাস্তা করে দেওয়ার নামে জমি দখলের পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম রুপ্তনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তাড়াইল উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে ২০১৯ সালে রাফিউল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন মৃত রবিউল্লাহ’র ছেলে রফিকুল ইসলাম রুপ্তন। মাদরাসায় যাওয়া-আসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো রাস্তা না থাকায় আশপাশের মানুষের বাড়িঘরের আঙিনা পার হয়ে চলাচল করা লাগতো শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের।

গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ইতিপূর্বে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার সালিশ-বৈঠক হলেও কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। এদিকে সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন মাদরাসা শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য একটি রাস্তার ব্যবস্থা করে দেয়। সরেজমিনে রাফিউল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসায় গিয়ে আরও দেখা যায়, টিনসেডের দু’টি কক্ষের মাঝে একটিতে দাপ্তরিক কার্যক্রম ও অন্যটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, মাদরাসায় আসা-যাওয়া করতে আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। আমরা অনেক দিক দিয়ে চলাচল করে মাদরাসায় যাওয়া-আসা করতে পারি। হুজুরের কথায় আমরা ওই বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করি কিন্তু এদিক দিয়ে ছাড়াও আরও রাস্তা আছে চলাচলের। মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাবা রমজান আলী জানান, আমার সন্তানসহ তার সহপাঠীদের চলাচল করতে কোনো সমস্যা হয় না। আমার সন্তানকে রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে আমাকে জানায় হুজুর হাফেজ আমির হামজা শিখিয়ে দেয় যে রাস্তার সমস্যা আছে এটা বলতে নাহলে তাদের মারবে।

বসতঘরের বাসিন্দা নাসিমা আকতার কান্না স্বরে বলেন, আমার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী। তিনটি সন্তান নিয়ে অভাবের সংসার। আমার শশুর সরকারের কাছ থেকে এই জায়গা পেয়েছিল যা বর্তমানে আমরা ঘর বানিয়ে থাকছি। এতদিন এই জায়গা খালি থাকায় মানুষজন চলাচল করতো কিন্তু এটা খাস জায়গা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে আমার শশুর পরিবার নিয়ে থাকা শুরু করেন।

নাসিমার দেবর আবদুস সাত্তার বলেন, আমার পরিবার ২০০৯ সালে খাস জায়গা লিজ নিয়ে এখানে বসবাস করলেও কোনো সমস্যা হয়নি। আমার ভাই ঘর নির্মাণ করে থাকা শুরু করলে রফিকুল ইসলাম রুপ্তন মাদরাসায় যাওয়া-আসার রাস্তা দাবি করেন। চলাচলের আরও রাস্তা থাকা সত্ত্বেও আমাদের বসতঘর ভেঙে মাদরাসার রাস্তার নাম দিয়ে ভিটেমাটি উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে রফিকুল ইসলাম রুপ্তন।

তাই সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের এখান থেকে সরাতে পারলে সে তার জায়গার ভালো মূল্য পাবে এই আশায় খাস জায়গাকে রাস্তা দাবি করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হারুন মিয়া বলেন, প্রতিবন্ধী আবদুল কাদেরের বাবা আবদুস সোবহান মিয়া সরকারের কাছ থেকে খাস জায়গা লিজ নিয়ে তার পরিবারসহ থাকতে শুরু করে। কয়েক বছর আগে রফিকুল ইসলাম রুপ্তন জায়গা ক্রয় করে মাদরাসা ও গোরস্থান তৈরি করে। এতদিন যাওয়া-আসার রাস্তা নিয়ে কোনো সমস্যা না হলেও কয়েক মাস আগে একটি ঘর তৈরি হলে চলাচলে সমস্যা দেখা দেয় পরবর্তীতে এসিল্যান্ড এসে রাস্তার ব্যবস্থা করে দেয়।

দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম বলেন, মৃত আবদুর রশিদের ছেলে আবদুল কুদ্দুসের মালিকানা জায়গা হল মূল সড়কের ১০০ ফুট দক্ষিণে। কিন্তু সে আবদুস সোবহানের দখলীয় জায়গাকে তার জায়গা বলে দাবী করছে। এই জায়গাটি খাস জমি এখানে লিজ নিয়ে বসতঘর তৈরি করা হয়েছে। মাদরাসা ও গোরস্থানে যাওয়া-আসার জন্য আরও রাস্তা রয়েছে।

এ বিষয়ে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম রুপ্তন বলেন, স্থানীয়দের পরামর্শে আমি এখানে মাদরাসা ও গোরস্থান তৈরি করি। বর্তমানে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে যেন আমি এসব ছেড়ে চলে যাই।

তাড়াইল উপজেলার নগরকুল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান সুমন বলেন, ভূমি বন্দোবস্ত দলিল মূলে করাতি মৌজার ২৮৪ নং দাগে আবদুস সোবহান গং ১৪ শতাংশ জায়গার মালিক ও দখলকার হয়ে উক্ত দাগের উত্তর-পূর্ব কোণে সম্প্রতি একটি বসতঘর তৈরি করলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। আমি সরেজমিনে গিয়ে তাদের বলে আসছি ঘর ভেঙে মাদরাসায় যাওয়া- আসার জন্য রাস্তা দিতে। অন্যাথায় তাদের লিজ বাতিল করে দেব।

এ বিষয়ে তাড়াইল উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, বসতঘরের বাসিন্দা নাসিমা আকতার সরকারী জায়গা লিজ নিয়ে দখল করে বসবাস করতেছে। আরেক প্রভাবশালী লোক রফিকুল ইসলাম রুপ্তন মাদরাসা ও কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য এই জায়গা দিয়ে রাস্তা নিতে চাচ্ছে। এলাবাসী তাদের মালিকানা জায়গা দিয়ে রাস্তা দিয়েছে।

এলাকাবাসীর বক্তব্য হল আমাদের মালিকানা জায়গা দিয়ে তারাও চলুক, আমরাও চলি, কোনো আপত্তি নাই।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট