নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কৃতি সন্তান, শিল্প উদ্যোক্তা, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান সুখন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে জনগণের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছেন।
ষাটের দশকে নাসিরনগরের চাপড়তলা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া একে একরামুজ্জামান তাঁর শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন ঢাকায়। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৭৭ সালে জার্মানি এবং পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়ে সেখানে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। বিদেশে সাফল্যের উচ্চশিখরে পৌঁছেও দেশের প্রতিটি টানেই তিনি স্বদেশে ফিরে আসেন এবং দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
বর্তমানে তাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, আর পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে আরও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শ্রেষ্ঠ করদাতা নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০১৭ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিআইপি (গুরুত্বপূর্ণ শিল্পোদ্যোক্তা) স্বীকৃতিও লাভ করেন।
দেশের উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার রক্ষার দৃঢ় সংকল্প থেকেই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদ ও উপজেলা সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সাল থেকে একাধিকবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি সবচেয়ে আলোচিত হন ২০২৪ সালের নির্বাচনে জনগণের মনোনীত কলার ছড়ি মার্কা প্রতীকে অংশ গ্রহণ করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুন ভোট বেশি পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।ষড়যন্ত্র, মামলা-হামলা ও হয়রানি সত্ত্বেও জনগণের আস্থা ও সমর্থনে তিনি জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন তিনি স্থানীয় জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ২০২৪ সালের আন্দোলনকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য রাজনৈতিক মামলা হলেও নাসিরনগরে কোনো মামলা হয়নি, যা তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব ও ত্যাগের উজ্জ্বল প্রমাণ।
শিল্প, সমাজসেবা ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব- এই তিন ক্ষেত্রেই তিনি রেখে চলেছেন অনন্য দৃষ্টান্ত। এলাকাবাসীর কাছে তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং আস্থা, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের প্রতীকও।
নাসিরনগরের সাধারণ মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছে আলহাজ্ব একে একরামুজ্জামান সুখনের নেতৃত্বে তাঁদের আগামী হবে আরও নিরাপদ ও সমৃদ্ধ।
নিঃসন্দেহে তিনি একাধারে সফল উদ্যোক্তা, জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক-যিনি সার্বিকভাবে দেশের অগ্রযাত্রায় নিজেকে নিবেদিত করে চলেছেন।